মাসিক বজ্র || একাদশ সংখ্যা || ঈদুল-আযহা || আগষ্ট-২০১৯ || ছোটগল্প- অবাক স্বপ্ন || গল্পকার- নুরনবী নতুন ||
অবাক স্বপ্ন
নুর নবী নতুন।
পরিক্ষা দিয়ে এসে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়লাম।চোখে ঘুম ঘুম ভাব। বাহির থেকে ডাক দিল কেউ একজন। এসে দেখি কেউ নেই।আনমনা হয়ে উঠানে গিয়ে বসলাম। চোখটা উঠোনের কোণায় পড়া মাত্র আমি হতচকিত হয়ে গেলাম। দেখলাম খুব সুন্দর একটা গর্ত। তার ভেতর থেকে খুব তিক্ষ্ণ আলো আসছে। ভয়ে ভয়ে গর্তের প্রবেশ করলাম। গর্তটা ক্রমশই বড় হচ্ছে। পা টিপে টিপে আরো কাছে গিয়ে দেখি, হ্যাঁ সত্যিই তো। এটা আরো বড় হয়েছে। ভেতর থেকে এতো উজ্জ্বল আলো বেরিয়ে আসছে। হঠাৎ আলোটা কমতে শুরু করল। আলোর জন্য ভিতরের ও পাশ দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ দেখলাম গর্তের নিচের দিকে সিড়ির মত কিছু একটা সোজা নেমে গেছে। কিন্তু সেটা কোথায় গিয়ে যে ঠেকেছে আলো পুরোপুরি না কমায় সেটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। সাহস করে সিড়ি ধরে নামতে শুরু করলাম। এবার যা দেখলাম তাতে আরো অবাক হলাম। এটা তো কল্পনাতেও অসম্ভব। এখান থেকে সিড়ি আরো নিচের দিকে নেমে গেছে। আর এটা গিয়ে ঠেকেছে নিচে একটা মেঝেতে। উপর থেকে যতটা দেখলাম তা একটা ঘরের নিচের তলার মতো মনে হলো। সাহস করে সিড়ি বেয়ে নামতে শুরু করলাম। সিড়িটি অদ্ভূদ ধরণের ঝলমল করছে। নিচে এসে দেখি একটা বাড়ির নিচতলা যেমন থাকে ঠিক তেমনই। সিড়ি থেকে নামা মাত্রই সিড়িটি হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলো। খুব ভয় পেয়ে গেলাম।দেখি ওপাশে একটা ঘর। চারপাশে সু-সজ্জিত। কিছু না ভেবেই ঘরটিতে প্রবেশ করলাম। কিছু অদ্ভুত জিনিস দিয়ে সাজানো পুরো ঘরটি। এত সুন্দর ঘর পৃথিবীতে বুঝি হয়না। ঘরের ভিতর কেউ নেই। উদ্দেশ্যহীন ভাবে দাড়িয়ে থাকলাম। কি করবো বুঝতেছি না। হঠাৎ এদিক থেকে ওদিক ফিরতেই আমার চোখ কোপালে। একি? আমার মুখের সামনে একটা রিমাট শূণ্যে ভাসমান।রিমোটের মধ্যে থাকা ছোট ছোট দু'টি লাইট যেন দুইটি জ্বলন্ত চোখ। যেন আমার দিকে চেয়ে আছে। ভয়ে চোখ বন্ধ করে ওপাশ ফিরে চোখ খুলে দেখি রিমোটটা আমার সাথে সাথে ওপাশে চলে এসেছে। ভয়ে হাত পা কাঁপতে লাগলো। সাহস করে রিমোট টা ধরে ফেললাম। ধরার সাথে সাথে জ্বলন্ত লাইট দুইটি নেভে গেছে। সাত রঙের সাতটি বোতাম রয়েছে রিমোটটিতে। উপরের দিকের একটা বোটনে চাপ দিলাম। অদ্ভূদ একটা শব্দ হলো। পরে বুঝলাম এটা আসলে স্বাগত বার্তা। অদৃশ্য হতে কেউ একজন বললো 'এলিটগেটে আপনাকে স্বাগত' আমি নির্বাক দাঁড়িয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পরে আরেকটা বোতামে চাপ দিলাম। চাপ দেওয়ার সাথে সাথে ঘরের অপর পাশ থেকে একটা চেয়ার আমার সামনে এসে থেমে গেছে। চেয়ারটি সোনার চেয়ার। অদ্ভূদ চোখ ধাঁধানো কারুকার্য। এততক্ষণ ভয় লাগলেও ব্যাপারটা এখন রহস্যময় লাগছে। চেয়ারটিতে বসে পড়লাম। বসার সাথে সাথে চেয়ারটা চলতে শুরু করলো। চেয়ারটা এসে একটা কামরায় থামলো। কামরাটি সুসজ্জিত বেশ সুন্দর। কামরাটির ঠিক মধ্যখানে একটি বড় খাবারের টেবিল। তার উপর অসংখ্য খাবারের থালা। খাবারের সুগন্ধ আমাকে নেশাগ্রস্থ করে তুললো। ঝাপিয়ে পড়লাম খাবারের উপর। খাবার গুলো খুবই সুস্বাদু, খুব মজার। গ্রোগ্রাসে গিলতে থাকলাম। আর পারছি না। এত খেলাম যে নড়াচড়া করতে ও কষ্ট হচ্ছে। বিশ্রাম নেওয়া দরকার। আরেকটা বোতামে চাপ দিলাম। চেয়ারটা আবার চলতে শুরু করল। গিয়ে থামলো আরেকটি কামরায়। এটি শোবার ঘর।চেয়ারটি লিফটের মতো করে আমাকে বিছায় শুইয়ে দিলো। তুলতুলে আরামদায়ক বিছানা । চোখ বুজতেই ঘুমের জগতে হারিয়ে গেলাম। হঠাৎ আবার কেউ ডেকে উঠল। একবার, দুইবার, তিনবার আওয়াজটা আস্তে আস্তে পরিষ্কার হচ্ছে। আরে, এটা তো আমার মায়ের গলা। চোখ মেলে দেখি আমি ঘরের সেই পুরানো খাটে ঘুমিয়ে আছি। রাত নয়টা বাজে। মা ডাকছে খাওয়ার জন্য।
কি আশ্চর্য! কি ঘটলো এইসব? মাত্রই তো আমি ওই সুসজ্জিত ঘরে ছিলাম। তাহলে কি সব স্বপ্ন ছিলো?
নুর নবী নতুন।
পরিক্ষা দিয়ে এসে ক্লান্ত হয়ে শুয়ে পড়লাম।চোখে ঘুম ঘুম ভাব। বাহির থেকে ডাক দিল কেউ একজন। এসে দেখি কেউ নেই।আনমনা হয়ে উঠানে গিয়ে বসলাম। চোখটা উঠোনের কোণায় পড়া মাত্র আমি হতচকিত হয়ে গেলাম। দেখলাম খুব সুন্দর একটা গর্ত। তার ভেতর থেকে খুব তিক্ষ্ণ আলো আসছে। ভয়ে ভয়ে গর্তের প্রবেশ করলাম। গর্তটা ক্রমশই বড় হচ্ছে। পা টিপে টিপে আরো কাছে গিয়ে দেখি, হ্যাঁ সত্যিই তো। এটা আরো বড় হয়েছে। ভেতর থেকে এতো উজ্জ্বল আলো বেরিয়ে আসছে। হঠাৎ আলোটা কমতে শুরু করল। আলোর জন্য ভিতরের ও পাশ দেখা যাচ্ছে না। হঠাৎ দেখলাম গর্তের নিচের দিকে সিড়ির মত কিছু একটা সোজা নেমে গেছে। কিন্তু সেটা কোথায় গিয়ে যে ঠেকেছে আলো পুরোপুরি না কমায় সেটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। সাহস করে সিড়ি ধরে নামতে শুরু করলাম। এবার যা দেখলাম তাতে আরো অবাক হলাম। এটা তো কল্পনাতেও অসম্ভব। এখান থেকে সিড়ি আরো নিচের দিকে নেমে গেছে। আর এটা গিয়ে ঠেকেছে নিচে একটা মেঝেতে। উপর থেকে যতটা দেখলাম তা একটা ঘরের নিচের তলার মতো মনে হলো। সাহস করে সিড়ি বেয়ে নামতে শুরু করলাম। সিড়িটি অদ্ভূদ ধরণের ঝলমল করছে। নিচে এসে দেখি একটা বাড়ির নিচতলা যেমন থাকে ঠিক তেমনই। সিড়ি থেকে নামা মাত্রই সিড়িটি হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলো। খুব ভয় পেয়ে গেলাম।দেখি ওপাশে একটা ঘর। চারপাশে সু-সজ্জিত। কিছু না ভেবেই ঘরটিতে প্রবেশ করলাম। কিছু অদ্ভুত জিনিস দিয়ে সাজানো পুরো ঘরটি। এত সুন্দর ঘর পৃথিবীতে বুঝি হয়না। ঘরের ভিতর কেউ নেই। উদ্দেশ্যহীন ভাবে দাড়িয়ে থাকলাম। কি করবো বুঝতেছি না। হঠাৎ এদিক থেকে ওদিক ফিরতেই আমার চোখ কোপালে। একি? আমার মুখের সামনে একটা রিমাট শূণ্যে ভাসমান।রিমোটের মধ্যে থাকা ছোট ছোট দু'টি লাইট যেন দুইটি জ্বলন্ত চোখ। যেন আমার দিকে চেয়ে আছে। ভয়ে চোখ বন্ধ করে ওপাশ ফিরে চোখ খুলে দেখি রিমোটটা আমার সাথে সাথে ওপাশে চলে এসেছে। ভয়ে হাত পা কাঁপতে লাগলো। সাহস করে রিমোট টা ধরে ফেললাম। ধরার সাথে সাথে জ্বলন্ত লাইট দুইটি নেভে গেছে। সাত রঙের সাতটি বোতাম রয়েছে রিমোটটিতে। উপরের দিকের একটা বোটনে চাপ দিলাম। অদ্ভূদ একটা শব্দ হলো। পরে বুঝলাম এটা আসলে স্বাগত বার্তা। অদৃশ্য হতে কেউ একজন বললো 'এলিটগেটে আপনাকে স্বাগত' আমি নির্বাক দাঁড়িয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পরে আরেকটা বোতামে চাপ দিলাম। চাপ দেওয়ার সাথে সাথে ঘরের অপর পাশ থেকে একটা চেয়ার আমার সামনে এসে থেমে গেছে। চেয়ারটি সোনার চেয়ার। অদ্ভূদ চোখ ধাঁধানো কারুকার্য। এততক্ষণ ভয় লাগলেও ব্যাপারটা এখন রহস্যময় লাগছে। চেয়ারটিতে বসে পড়লাম। বসার সাথে সাথে চেয়ারটা চলতে শুরু করলো। চেয়ারটা এসে একটা কামরায় থামলো। কামরাটি সুসজ্জিত বেশ সুন্দর। কামরাটির ঠিক মধ্যখানে একটি বড় খাবারের টেবিল। তার উপর অসংখ্য খাবারের থালা। খাবারের সুগন্ধ আমাকে নেশাগ্রস্থ করে তুললো। ঝাপিয়ে পড়লাম খাবারের উপর। খাবার গুলো খুবই সুস্বাদু, খুব মজার। গ্রোগ্রাসে গিলতে থাকলাম। আর পারছি না। এত খেলাম যে নড়াচড়া করতে ও কষ্ট হচ্ছে। বিশ্রাম নেওয়া দরকার। আরেকটা বোতামে চাপ দিলাম। চেয়ারটা আবার চলতে শুরু করল। গিয়ে থামলো আরেকটি কামরায়। এটি শোবার ঘর।চেয়ারটি লিফটের মতো করে আমাকে বিছায় শুইয়ে দিলো। তুলতুলে আরামদায়ক বিছানা । চোখ বুজতেই ঘুমের জগতে হারিয়ে গেলাম। হঠাৎ আবার কেউ ডেকে উঠল। একবার, দুইবার, তিনবার আওয়াজটা আস্তে আস্তে পরিষ্কার হচ্ছে। আরে, এটা তো আমার মায়ের গলা। চোখ মেলে দেখি আমি ঘরের সেই পুরানো খাটে ঘুমিয়ে আছি। রাত নয়টা বাজে। মা ডাকছে খাওয়ার জন্য।
কি আশ্চর্য! কি ঘটলো এইসব? মাত্রই তো আমি ওই সুসজ্জিত ঘরে ছিলাম। তাহলে কি সব স্বপ্ন ছিলো?
Comments
Post a Comment